January 16, 2025, 9:17 am

সংবাদ শিরোনাম
মধুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেনাপোলে বিজিপি বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হারিয়ে যাওয়া মায়ের খোঁজে দিশেহারা সন্তানরা ভিসা জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে পরিবহন ব্যাবসার ধ্বস তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ ঢাকায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করলেন সন্ত্রাসীরা: বেনাপোলে ভারতীয় ভয়ঙ্কর ট্যাপেন্টাডোল জব্দ মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ লামায়-আলীকদম অনুপ্রবেশকালে ৫৮ মিয়ানমার নাগরিকসহ ৫ দালাল আটক

পাবনায় শিক্ষক নিয়োগের দ্বন্দ্বের জেরে গুলিবিদ্ধ ১

পাবনায় শিক্ষক নিয়োগের দ্বন্দ্বের জেরে গুলিবিদ্ধ ১

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক                  

 

পাবনা সদর উপজেলার সাদুল্যাপুর ইউনিয়নের শ্রীকোল আমিনা স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গত বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত ব্যক্তির নাম নূরুল ইসলাম (৪৮)। তিনি শ্রীকোল গ্রামের বাসিন্দা। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাত ১১টার দিকে নূরুল ইসলাম স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথের মধ্যে দুটি মোটরসাইকেলে চার থেকে পাঁচজন মানুষ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নূরুল ইসলাম। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক এম এ তালেব জানান, আহত ব্যক্তির শরীরে ২০ থেকে ২৫টি গুলির স্পিøন্টার লেগেছে। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত। তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং শ্রীকোল আমিনা স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি আওয়াল কবির জয়ের ভাষ্য, শ্রীকোল আমিনা স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও একজন অফিস সহকারী নিয়োগকে কেন্দ্র করে ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস মুন্সীর বিরোধ চলছিল। চেয়ারম্যানের পক্ষ না নেওয়ায় তাঁকে নূরুল ইসলামকে গুলি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ নূরুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিতে চান। কিন্তু গ্রামের কেউ তাঁকে সমর্থন দেয়নি। তিনিও চেয়ারম্যানকে সমর্থন দেননি। ফলে চেয়ারম্যানের লোকজন তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। চেয়ারম্যানের দুই ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমির সোহেল মিলন ও মাসুদসহ তাঁদের কিছু অনুসারী বেশ কিছুদিন ধরে তাঁকে হত্যার হুমকি দিচ্ছিল বলে দাবি করেন তিনি। নূরুল ইসলামের দাবি, বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেলে করে এসে তারাই গুলি চালিয়েছে। তিনি সবাইকে চিনতেও পেরেছেন। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আওয়াল কবির জয় আরো বলেন, চেয়ারম্যান তাঁর পছন্দের প্রার্থী সোহরাব হোসেনকে অবৈধভাবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক করতে চান। এতে গ্রামের কারো মত নেই। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটিও তাতে সমর্থন দেয়নি। তিনি জোরপূর্বক কমিটির চারজনকে পদত্যাগ করিয়ে নিজের লোক বসানোর চেষ্টা করছেন। ফলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের দুই ছেলেসহ সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান কুদ্দুস মুন্সীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাঁর ছেলেদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আহত ব্যক্তি সন্ত্রাসী ও চরমপন্থী। তাদের দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে তিনি গুলিবিদ্ধ হতে পারেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনা সদর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যারা গুলি করেছে, তাদের খোঁজা হচ্ছে। খুব শিগগির তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর